প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস



মহান রাব্বুল আলামিন মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে সৃষ্টি করে বিবেক বুদ্ধি দান করেছেন। এই বিবেক বুদ্ধিকে যথাযথ কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন শিক্ষার। একটি সু-সভ্য, আদর্শ ও দক্ষ জাতি গঠনে শিক্ষা অর্জন অপরিহার্য। দরিদ্র অবহেলিত কৃষক সমাজের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি ধন্য জনপদের উপকন্ঠে এবং গোহালা নদীর পার্শ্ববর্তী চিথুলিয়া গ্রামে মনমুগ্ধকর পরিবেশে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী পরিবারের মহীওষী নারী রাবেয়া খাতুন তাঁর জীবনদ্দশায় অত্র গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কথা বলেছিলেন। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মহীওষী নারীর সুযোগ্য বীর সন্তানেরা (বিদ্যালয়ের দাতা) মরহুম আব্দুর রাজ্জাক মুকুল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাদপুর (৬) এবং বিদ্যালয়ের (প্রতিষ্ঠাতা) বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রফিকুর ইসলাম বকুল পাবনা এবং সিরাজগঞ্জের মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনীর প্রধান, তিনবার নির্বাচিত পাবনা ৫ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য যিনি ২৩ মার্চ ১৯৭১ সালে বৃহত্তর পাবনায় স্বাধীনতার পতাকা উত্তলনকারী এর প্রচেষ্ঠায়, অত্র চিথুলিয়া রাবেয়া নজিবর উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাতা গনের জননীর সেজ বোন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদ সাহেবের সহধর্মীনি মরহুমা নুুরুন নাহার সামাদ শুভ উদ্ধোধন করেন।


প্রতিষ্ঠাকালীন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দ
১. জনাব মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মুকুল (সভাপতি), সাবেক সংসদ সদস্য, সিরাজগঞ্জ-৬।
২. জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম বকুল (প্রতিষ্ঠাতা), সাবেক সংসদ সদস্য, পাবনা-৫।
৩. অধ্যাপক জনাব মোঃ গওহর আলী (সদস্য), শাহজাদপুর সরকারি কলেজ।
৪. জনাব মোঃ শাহজাহান আলী (সদস্য), বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা।
৫. জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম (সদস্য), প্রধান শিক্ষক চুলধরী রেজি: বেসরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়।
৬. জনাব মোঃ নঈম উদ্দিন (সদস্য), প্রধান শিক্ষক বনগ্রাম সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়।
৭. জনাব জুলফিকার আলী (সদস্য), শিক্ষানুরাগী, চরআঙ্গারু।
৮. অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আমির হোসেন (সদস্য), দিঘুলিয়া এ জেড উচ্চবিদ্যালয় বনোয়ারী নগর ফরিদপুর, পাবনা।
৯. জনাব মোঃ শফি উদ্দিন (সদস্য), প্রধান শিক্ষক, চিনাধুকুরিয়া ওয়াজিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
১০. জনাব মোঃ শামসুল ইসলাম (সদস্য), শিক্ষানুরাগী, চিথুলিয়া।
১১. জনাব মোঃ মঈন উদ্দিন (সদস্য), বিশিষ্ট সমাজ সেবক, বনগ্রাম।
বিদ্যালয়টি ১(এক একর) ২১ (একুশ) শতাংশ ভূমির উপর ১৯৯৮ সালে নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং ২০০৩ সাল হতে ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর মানবিক বিজ্ঞান,বানিজ্য ও অতিরিক্ত বিষয় কৃষি শিক্ষা স্বীকৃতি লাভ করে। বিদ্যালয়টি কৃষি অঞ্চলের আওতাভুক্ত হওয়ায় নারী শিক্ষার পাশা-পাশি দরিদ্র কৃষক সন্তানদের লেখাপড়া হতে ঝরে পরা রোধের জন্য এলাকার জনগনের দাবীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনক্রমে ২০১২ সাল হতে সহ শিক্ষা চালু করেন। একই বছর অর্থাৎ (২০১২) সাল হইতে আধুনিক শিক্ষা বিষয়ে কম্পিউটার শিক্ষা বিষয় অনুমোদিত হয় এবং ২০২০ সাল হতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয় কতৃক পরিচালিত এস.এস.সি স্টাডি সেন্টার চালু হয়। এছাড়াও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় চার তলা ভবন রয়েছে যেখানে ১টি বিজ্ঞানাগার, ১টি গ্রন্থাগার, ১টি মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিব কর্ণার ও ১ টি মনোরম খেলার মাঠ রয়েছে। ২০১৫ সালে শেখরাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপিত হয়। যাহা আইসিটি শিক্ষাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক ও কর্মচারী বৃন্দ:
১. জনাব মোঃ মসলেম উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক।
২. জনাব মোঃ ছানোয়ার হোসেন, সহকারী শিক্ষক (বি.এস.সি)।
৩. জনাব মোঃ জুলহক উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান)।
৪. জনাব মোঃ আব্দুর রউফ, সহকারী শিক্ষক (শরির চর্চা)।
৫. জনাব ছাইফুদ্দিন ইয়্যাহিয়া, সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা)।
৬. জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার, অফিস সহকারী।
৭. জনাব মোঃ ওয়াহেদ আলী, দপ্তরি।
৮. জনাবা মোছাঃ নুরুন্নাহার পারভীন, আয়া।
ধন্যবাদন্তে,
প্রধান শিক্ষক
চিথুলিয়া রাবেয়া নজিবর উচ্চ বিদ্যালয়।
- প্রধান শিক্ষকের বাণী

- সভাপতির বাণী

- ফেসবুকে আমরা